আজ ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দেবহাটায় রস সংগ্রহে খেজুর গাছ প্রস্তুত করতে ব্যস্ত গাছিরা

আব্দুল্লাহ আল মামুন দেবহাটা প্রতিনিধিঃ
গ্রাম-বাংলার মাঠে-ঘাটে শীতের আবহ শুরু হয়েছে তাই দেবহাটায় গ্রামে গ্রামে গাছিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য গাছ প্রস্তুত করতে।সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গ্রামে গ্রামে খেজুরগাছ কাটার কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। আর কিছু দিন পর গাছ থেকে রস সংগ্রহের পর্ব শুরু হবে। দেবহাটা উপজেলার কোঁড়া গ্রামের মিয়ারাজ নামে একজন গাছি বলেন, খেজুর গাছ কাটা সহজ কাজ নয়। তিনি ১৯৮৯ সাল থেকে খেজুর গাছ কাটা শুরু করেন কিন্তু অনেক সময় গাছের ওপর থাকা অবস্থায় ভারসাম্য রক্ষা করাটাই কঠিন হয়ে যায়। তবে শীতের শুরুতে রস সংগ্রহ করে পরিবারের জন্য কিছু সঞ্চয় করতে পারলে সেই কষ্টটা সার্থক হয়।দেবহাটা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের গাছি মোজ্জেল বলেন, ‘গাছের ডালপালা পরিষ্কার ও চাঁছা-ছিঁলার কাজ হয়ে গেছে। আর এক সপ্তাহ পর থেকে আসা করা যাচ্ছে রস সংগ্রহ করতে পারবো ,তারা দুইজন গাছি এবার ১০০ টির মতো খেজুর গাছ চাঁছা-ছিঁলার কাজ হয়েছে। তারপর গাছে গাছে ঘাট কেটে রাখা হবে। শীতের শিশির যত বাড়বে ঘাট দিয়ে রস গড়িয়ে পড়তে শুরু করবে। তাদের কাছে প্রশ্ন করা হয় খেজুরের রস কি ভাবে বিক্রি করা হয় সেখানে তিনি বলেন আমরা যে ভাড় ব্যাবহার করি সে এক ভাড় রস ২৫০-৩০০ টাকা বিক্রি করি, আর যদি রস জাল দিয়ে গুড় তৈরি করে বিক্রি করি তবে তখন এক নাম্বার গুড়ের কেজি আসে ৪৫০-৫০০টাকা আর সেটায় চিনি বেশি মেশানো হয় সেটার দাম কম থাকে।
দেবহাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান বলেন
উপজেলায়, মৌসুমি এ পেশায় কিছু মাসুষ সম্পৃক্ত আছে, অতীতে এ উপজেলায় শীতকালে রস সংগ্রহের পরিসর আরও বেশি ছিল। ইট ভাটার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করায় দিন দিন গাছের পরিমাণ কমছে। এখনও শীতকালে শহর থেকে মানুষ দলে দলে ছুটে আসে গ্রামে খেজুর রস খেতে। শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস, গুড়, পিঠা, পুলি ও পায়েস খাওয়ার পালা। এছাড়া খেজুর পাতা দিয়ে আর্কষণীয় ও মজবুত পাটি তৈরি হয়।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরো খবর