ছবির বয়স্ক লোকটি, দেবহাটা থানার কুলিয়া ইউনিয়নের বহেরা গ্রামের একজন প্রবিন কুরআনের হাফেজ, ওস্তাদ, নাম সামজাদ হোসেন (সাদ্দাম)।
আজ ভিডিওতে দেখলাম উনি ওনার মাদ্রাসার জন্য টাকা তুলতে গিয়ে সাতক্ষীরার কদমতলা বাজারে গিয়ে ছবির অপর ২জন ব্যক্তি দ্বারা চরম অপমান এবং মারধরের স্বীকার হলেন। সত্য কথা তিনি একজন অসহায়, অসুস্থ, দরিদ্র আলেম। দারিদ্রতা হয়তো তাকে সময়ে অসময়ে টুকটাক ভুল কাজ করিয়েছে, টাকা তুলতে বারবার রাস্তায় নামিয়েছে কিন্তুু সে একজন ভাল মানের হাফেজ নিঃসন্দেহে। সে বহু হাফেজের ওস্তাদ, একজন ঈমাম, ভাল বক্তা। তার এহেন অপমানে সত্যি ব্যাথিত হয়েছি।
ছাত্রদের নিয়ে উনি যখন আমাদের হোটেলে খেতে আসতেন আমি ওনার থেকে খুব কম বিল নিতাম। আর আপনারা ১০ টাকা দিয়ে তাকে মারধর করলেন! ওনার মলিন মুখটার দিকে তাকিয়ে দেখেনতো লজ্জায়, অপমানে, ভয়ে মুখটা কেমন শুকিয়ে গেছে। পুরাতন কাগজপত্র দেখিয়ে একটু অপমানের হাত থেকে বাঁচতে চায়ছিল তাও আপনারা আদাজল খেয়ে নামলেন তাকে অপদস্ত করতে। কান ধরিয়ে আপনাদের কথাগুলো বলালেন, দেখেছেন উনি বলতে পারছিলেন না, কত লজ্জা তার লাগছিল, ভিডিও করে সেগুলো ছেড়েছেন আপনারা। অসুস্থ গরিব মানুষ সে। পুরো জীবনটা তার কস্টেই কেটেছে। তবুও তার মাদ্রাসায় সে বহু হাফেজ তৈরী করে গেছে। আপনাদের ওখানে গেছে টাকা পয়সা দিয়ে কিছু মাদ্রসায় খরচ করতো কিছু হয়তো নিজে খরচ করতো এই কি খুব বড় অপরাধ হয়েছে তার? মাহফিলে বক্তা এনে তো লক্ষ টাকাও দেন, তখন তো বলেন না এত টাকা দিব কেন? যত ফুটানি গরিব আলেমের উপর? কত সুন্দর কুরআন তেলওয়াত করতে পারে সে।
এই অপমানে এই অসহায় মানুষটার মাথা যতটা নিচু হয়েছে, ভেতর থেকে যতটা তিনি ভেঙ্গে পড়েছেন, এই অন্যায়টা কস্ট আর অপমানের আকার ধারন করে তথাকথিত ঐসব লোকজন (যারা আজকের এহেন ঘৃনিত কাজে জড়িত ছিল) তাদের দরজায় অবশ্যই কড়া নাড়বে।