আব্দুল্লাহ আল মামুন : যৌথবাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই শিবিরকর্মী হত্যার ঘটনায় ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি ৭ নম্বর আদালতে নিহত মারুফ হোসেনের ভাই মোকফুর হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।মামলার অন্যান্য আসামি হলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার (কালীগঞ্জ সার্কেল) মনিরুজ্জামান, দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক বিশ্বাস, উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউল হক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুল হক, আঃ খালেকের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর,তৎকালীন এস.আই শেখ আলী আকবর, এস.আই তপন কুমার সিংহ, এস.আই ইউনুস আলী গাজী, এস.আই ,তানভীর হাসান, পি. এ.এস.আই, মদন মোহন অধিকারী, এ.এস.আই, দেবাশীষ অধিকারী, এ.এস.আই, শফিকুল ইসলাম, রোকন উদ্দীন, নাঃ- ১৬৩, জাহাঙ্গীর, কং- ৬১৬,আঃ সালাম, কং- ৬৬১,জামিরুল ইসলাম, কং- ৬৪১, গৌতম সাহা, কং- ৩৫৯,মাহাফুজুল হক, কং- ৩৭৪,আঃ মজিদ, কং- ৪৯৩,আনোয়ার, কং- ৭১৭, রেজাউল, কং- ৩৯৯,ইব্রাহিম খলিল, কং- ১৮৪,আবু জাফর, কং- ১৩৭,মঞ্জুরুল, কং- ২৯৫,নূর ইসলাম, কং- ৬২৬,মেহেদী, কং- ১১৩,ইসমাইল, কং- ৪১৭,শাহনেওয়াজ, কং- ৪৭৭,আব্দুল্লাহ, কং- ৭৬৮, কামাল, কং- ৭৬৪,সৌমিত, কং- ৫৭২, মেজর আহম্মেদ হোসেন সোহেল,ডিএডি ওয়াফি হাঃ শহীদ, নাঃ মেহেদী, সামীম, সৈনিক হোসেন, সৈনিক খালিদ, কং জামাল, সৈনিক গোলজার, সুবেদার ,মঞ্জু মোল্যা, ল্যাঃ নাঃ জসিম, সিঃ, মিজান, সিঃ রেজাউল হক, মোঃ মোশারফ হোসেন।এছাড়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স.ম গোলাম মোস্তফা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি , যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম, মোঃ মান্নান হোসেন, সুভাস ঘোষ, মোঃ আরিফ বিল্লাহ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান , সাবেক ইউপি সদস্য শহীদুল্লাহ গাজী, দেবহাটার সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, নির্মল কুমার মন্ডল, আকবর আলী, মোঃ আছরপ গাজী, আকিনুর গাজী।মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি দেবহাটায় গ্রেফতারের পর ছাত্র শিবিরের দুই নেতা মারুফ হোসেন (২৪) ও আবুল কালাম (২২) কে গুলি করে উল্লিখিত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। সে সময় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন থাকায় মামলা করার সাহস পায়নি। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় ন্যায়বিচার পাওয়ার দাবিতে মামলা রুজু করেছেন বলে বাদী নিহত মারুফ হোসেনের ভাই মোঃ মোকফুর হাসান।বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।