বিকল্প কর্মসংস্থান ও সবুজ উদ্যোক্তা তৈরী, যুব-নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত

শাহ জাহান আলী মিটন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরায় যুব-নেতৃত্বে বিকল্প কর্মসংস্থান ও সবুজ উদ্যোক্তা তৈরী, যুব-নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় সদর উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এ এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী, শ্যামল কুমার বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ।

সস্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক সঞ্জিত কুমার দাস ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মনির হোসেন, মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট (ইপিআই) সাতক্ষীরা সদর শেখ মহিবুর রহমান, ফিংড়ি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার স্বপ্না রাণী মন্ডল, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের করবী সুলতানা।

আরো উপস্থিত ছিলেন সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি হেনরী সরদার, জেন্ডার ডেভেলপমেন্ট ফোরাম সভাপতি ফরিদা আক্তার বিউটি, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়ন সুমন কুমার রায়, ফিংড়ি ইউনিয়ন, ধানদিয়া ইউনিয়ন পান্না লাল বিশ্বাস, নগরঘাটা ইউনিয়ন শেখ আব্দুস সালাম, ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।

প্রকল্পের কার্যক্রম ও কর্মসূচির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী জনাব মো: তহিদুজ্জামান (তহিদ)।

বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ইয়ূথ হাবের সভাপতি সাকিব হাসান, কর্নফুলী যুব সংঘের সদস্য শাহনাজ পারভীন, প্রান্তিক যুব সংঘের সদস্য মারুফুজ্জামান সম্রাট।

এডভোকেসির উদ্দেশ্য ছিল সময়োপযোগি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা তৈরী, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে জলাবদ্ধ এলাকায় কৃষকদের বিকল্প ফসলের চাষে উদ্বুদ্ধ করণ, গ্রামীন যুব ও নারীবান্ধব মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করন, সবুজ উদ্যোক্তা তৈরী ও সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে উদ্যোগ গ্রহন।

উপস্থিত অতিথিবৃন্দ বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতি বৃষ্টি,অনা বৃষ্টি, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং কৃষি কাজে ব্যপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে যার ফলে কৃষি উৎপাদন কমে যাচ্ছে। তথা কৃষি, মৎস্য, ও প্রাণী সম্পদ উৎপাদন কমে যাচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তন ও তার ক্ষতিকর প্রভাবের ফলে মানুষের কর্মসংস্থান নষ্ট হচ্ছে, মানুষের মাঝে স্থানান্তরের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং শহরে মানুষের চাপ বাড়ছে ও জীবিকায়ন কঠোর হচ্ছে।

উক্ত এডভোকেসি সভায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট যুব সদস্যরা যে প্রস্তাবনা প্রদান করেন, জলাবদ্ধ এলাকায় বিকল্প ফসল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ। পরিবেশ বান্ধব কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা ও এগ্রোইকোলজি চর্চা করা। লবন সহিঞ্চুতার জন্য ফসল উৎপাদনে সচেতনতা সৃষ্টি করা। আধুনিক কৃষ্রি প্রশিক্ষণ ও যুব কৃষক তৈরী করা, তরুনদের সময় উপযোগী কোর্স চালু করা, প্রশিক্ষণ পরবতী কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মনিটরিং করা, যুব প্রশিক্ষণ গুলো কিছু কিছু ইউনিয়ন ভিত্তিক করতে হবে, উদ্যোক্তা তৈরীতে সহায়তা করা, যুব সংগঠনগুলোকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক রেজিষ্ট্রেশন দেওয়া, ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারী সকল দপ্তরের মধ্যে একটি অনলাইন ভিত্তিক সমন্বয় থাকতে হবে, গ্রামীন নারীদের জন্য অনলাইন স্বাস্থ্য সেবার পদ্ধতি চালু করা, দুর্যোগকালীন আশ্রয়কেন্দ্রে গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রগুলোই একজন মহিলা ডাক্তার নিয়মিত উপস্থিত থাকা,কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সেবাগ্রহীতাদের তথ্য অনলাইন ভিত্তিক করা, কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোর পরিচালনা কমিটির সভা নিয়মিতকরণ ও ফলোআপ করা, নারীদের অনলাইন মার্কেটিং প্রশিক্ষণ ও পন্য বিক্রির জন্য উদ্বুদ্ধকরণ, তৃনমুল পর্যায়ের নারীদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মহিলা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমের সাথে লিংক করা, সরকারী কাঠামোতে নারীর অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে হবে।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালচনায় ছিলেন এক্টিভিস্টা শ্রেয়া গ্লোরিয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন একশনএইড বাংলাদেশ ইন্সপেরিটর সুপ্তি দাশ চৈতী, প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার।#